খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সবুজ বাগ এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার মুন্সির বাড়িতে ঢুকে, তার স্ত্রীকে একা পেয়ে গলায় ছুরি বসিয়ে ডাকাতির চেষ্টা। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাহেলা বেগমের স্বামীর পেনশনের টাকা উত্তোলনের খবর পেয়েই এই ঘটনা। এ সময় ২ জন নারী (ছিনতাইকারী) বোরকা ও মুখে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় আটক করা হয়েছে।
আটকৃতরা হলে- একই এলাকার বাসিন্দা মো. আলা উদ্দিনের স্ত্রী পারুল বেগম (৩৬) ও খাগড়াছড়ি সদর গোলাবাড়ি ইউপি, ৩ নং ওয়ার্ড, কৈবল্যপিঠ এলাকার মো. আইয়ুবের স্ত্রী, আব্দুল লতিফের মেয়ে মুক্তা আক্তার (২১)।
রাহেলা বেগম জানান, পারুল বেগম আমার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতো সুবাদে আমার স্বামীর পেনশন তথ্য জানতে পারেন, সে সন্ধ্যা নেমে এলে প্রসাব করার কথা বলে মুক্তা আক্তারকে সাথে নিয়ে বোরকা ও মুখে মাস্ক পরিহিত আমার ঘরে প্রবেশ করে।
দুইজনই প্রসাব করবে বলে ঘরের ভিতর টয়লেটে যায়। এই সুযোগে উক্ত ২ নারী তাদের হাতে হ্যান্ড গ্লাভস পরে আমাকে দুই পা টান দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং ঝাপটাইয়া ধরে। একপর্যায়ে তারা ওড়না দিয়ে জোরপূর্বক আমার দুই হাত এবং ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে ফেলে। তারা এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি মারে এবং ধারালো ছুরি গলায় ঠেকিয়ে প্রাণে হত্যার ভয় দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করে যে, ঘরের কোথায় টাকা আছে বল, যদি না বলিছ, তাহলে ধারালো চাকু দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলবো। এতে আমি প্রাণ ভয়ে আলমিরার ভিতরে জমি বিক্রয় বাবদ নগদ দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা রক্ষিত আছে মর্মে বলে দেয়। তখন ছিনতাইকারীরা আলমিরার তালা ভেঙে রক্ষিত থাকা টাকা নিয়ে নেয়। এছাড়াও ছিনতাইকারীরা আমাকে মারধর করে তার গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের ১টি স্বর্ণের চেন এবং ০১টি স্বর্ণের নাকফুল, ছিনিয়ে নিয়ে ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে চলে যায়। এ বিষয়ে সদর থানা অফিসার ইনচার্জ বলেন, উক্ত ঘটনায় স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের পুলিশ আটক করেন। তাদের কাছ থেকে ১৮০০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ০১টি হ্যান্ড গ্লোভস, একটি মাস্ক, ০২টি বোরকা, হিজাব ক্যাপ, একটি ওড়না, ১ জোড়া স্যান্ডেল জব্দ করা হয়েছে। ১৮ জানুয়ারি আটককৃতদের বিরুদ্ধে ৩৯৪ ধারায় সদর থানার মামলা হয়েছে, মামলা নং-০৬, পেনাল কোড রুজু করত. আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata